কর্মসূচি

আমাদের পরবর্তী প্রেস কনফারেন্সের বিষয়বস্তু
“কিভাবে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়বো”।
দয়া করে আপনাদের পরামর্শ গুলো এই ফোরামে লিখুন।
আমরা কেউ কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানকে স্পিড মানি দেব না। আমরা কোনো সরকারি ব্যক্তিকে উপহার, টাকা বা বকশিশ দেব না। কোনো কাজ দ্রুত সম্পাদন করানোর উদ্দেশ্যে আমরা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অর্থ প্রদান করব না।

আমরা কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দেব না। শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা বা রাজনৈতিক দলের সদস্যরা সদস্য ফি দিতে পারবেন, তবে তা কোনোভাবেই নগদ লেনদেনের মাধ্যমে হবে না। এটি অবশ্যই চেক বা সরাসরি ব্যাংক ট্রানজেকশনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে, যাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় এবং চেকস অ্যান্ড ব্যালেন্স বজায় থাকে।

যদি কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দল জোর করে টাকা বা চাঁদা দাবি করে, তবে অবশ্যই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিন। আশা করি, সরকার এ ক্ষেত্রে যথাযথ সাহসিকতা প্রদর্শন করবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশে দুর্নীতি কমানোর জন্য বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি, যার মধ্যে সরকারী সংস্কার, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অন্তর্ভুক্ত। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল উল্লেখ করা হলো:
১. দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করা

সরকারি চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী কোম্পানিগুলোর জন্য দুর্নীতিবিরোধী কঠোর নীতিমালা প্রয়োগ করা।
এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশে দুর্নীতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব হবে এবং একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-কে আরও স্বাধীন ও কার্যকর করা।

দুদকের কর্মকর্তা নিয়োগ ও কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করে দ্রুত ও নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করা।
২. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি

ই-গভর্নেন্স চালু করে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ কমিয়ে ঘুষের সুযোগ কমানো।

তথ্য অধিকার আইন (RTI) কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা।

সরকারী বাজেট ও ব্যয়ের তথ্য জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা।
৩. রাজনৈতিক ও নির্বাচনী সংস্কার

রাজনৈতিক দলের অর্থায়নের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা।

স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা।

দুর্নীতিগ্রস্ত প্রার্থীদের সরকারি পদে অযোগ্য ঘোষণা করা।
৪. প্রশাসনিক জটিলতা কমানো

ব্যবসা নিবন্ধন ও লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সহজ করা যাতে ঘুষের সুযোগ কমে।

বিধায়কদের সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে দুর্নীতি রিপোর্ট করার সুযোগ বৃদ্ধি করা।
৫. আইন প্রয়োগ ও শাস্তি কঠোর করা

দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা, পদমর্যাদা নির্বিশেষে।

সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করা যাতে ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা কমে।

নিয়মিত সরকারী প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা।
৬. জনসচেতনতা ও জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি

স্কুল-কলেজে দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষা চালু করা।

দুর্নীতির তথ্য প্রকাশে সিভিল সোসাইটি ও মিডিয়াকে আরও শক্তিশালী করা।

সরকারী কর্মকাণ্ডে নাগরিকদের নজরদারি বাড়ানো।
৭. নৈতিক ব্যবসায়িক অনুশীলন উৎসাহিত করা

কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) বাধ্যতামূলক করা।