জুলাই বিপ্লব: এর রাজনীতি ও কূটনীতি
✍️ প্রফেসর ড. শেখ আকরাম আলী
২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দেশের জনগণ এটিকে তাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলেও মনে করে। বাংলাদেশ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে ভারতের পরিকল্পিত একটি সৃষ্টিস্বরূপ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল এবং ১৯৭১ সাল থেকে ভারতীয় আধিপত্যের অধীনেই থেকেছে।
এই নবজাত রাষ্ট্রটি শুরু থেকেই এক গভীর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকটে পতিত হয়, যার পরিণতিতে ১৯৭৫ সালের আগস্টে শেখ মুজিবের মর্মান্তিক পতন ঘটে। অনেকে মনে করেন, এই পতনের পেছনে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উদ্যোগই দায়ী। আওয়ামী লীগের অসন্তুষ্ট একটি অংশ, খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে, এবং শেখ মুজিবের সংস্কারে বিরূপ আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো একত্রিত হয়ে শেখ মুজিবের পতনের পথ সুগম করে।
১৫ আগস্ট, ১৯৭৫-এর সেই রাতের অভ্যুত্থানের পূর্বে দেশের কেউই কিছু আঁচ করতে পারেনি। লেখক নিজে ইকবাল হলের আবাসিক ছাত্র হিসেবে সেই বিপ্লবের পূর্বাভাস টের পাননি।
শেখ মুজিবের শাসনকাল, ১৯৭৪ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ এবং ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা আগস্ট বিপ্লবের পটভূমি তৈরি করে। আওয়ামী লীগের ডানপন্থী নেতারা রুশ ধাঁচের একদলীয় শাসনব্যবস্থায় অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েন এবং সেই দিন থেকেই শেখ মুজিবের বিপক্ষে বিদেশি যোগাযোগ রেখে কাজ শুরু করেন। জনগণও শেখ মুজিবের রাজনৈতিক রূপান্তর পছন্দ করেনি এবং পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছিল।
এই সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সংঘটিত রাজনৈতিক পরিবর্তন দেশের প্রায় সবাই, প্রো-ইন্ডিয়ান গোষ্ঠী ছাড়া, সাধুবাদ জানায়। সাধারণভাবে মনে করা হয়, খন্দকার মোশতাক, তাহের উদ্দিন ঠাকুর ও মাহবুব আলম চাষীর মাধ্যমে সিআইএ এই পরিবর্তন বাস্তবায়ন করে। এইভাবে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ডানপন্থী রাজনীতি ভারতের মস্কোপন্থী সমাজতন্ত্রের বিপরীতে বিজয়ী হয়।
তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মোশতাক সরকার ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে খালেদ মোশাররফের হাতে পতিত হয়, এবং ৭ নভেম্বর তারও পতন ঘটে সিপাহী-জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে। তখন জনতা ও সৈন্যদের চোখ যায় জিয়াউর রহমানের দিকে, যিনি অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে জাতির হাল ধরেন।
জিয়াউর রহমান অল্প সময়ে দেশকে শান্তি ও শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনেন, এবং তাঁর ডানপন্থী রাজনীতি ও কূটনৈতিক দক্ষতা তাঁকে জাতীয় নেতায় পরিণত করে। তিনি দেশকে ভারতীয় আধিপত্য থেকে কিছুটা মুক্ত রাখতে সক্ষম হলেও, ভারতের সমর্থিত দেশীয় এজেন্টরা তাঁর অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয়।
মে ১৯৮১ সালে জাতি হারায় এক মহান নেতাকে এবং ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা থমকে যায়।
বাংলাদেশের মতো একটি দরিদ্র দেশে রাজনীতি ও কূটনীতি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এরশাদের শাসনামলে রাজনীতি অনুপস্থিত থাকলেও কূটনীতি কাজ করেছে এবং উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে।
খালেদা জিয়া একজন আপসহীন নেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হলেও, ভারতের আধিপত্যবাদী রাজনীতি গত ১৬ বছর ধরে তাঁকে রাজনীতি থেকে দূরে রেখেছে।
খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপি কার্যকরভাবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারেনি, তবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকেছে।
একইভাবে, দেশের একমাত্র বড় ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামী বিগত সরকার আমলে চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তবুও তারা আশাহীন হয়নি।
বিএনপি ও জামায়াত রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও ফ্যাসিস্ট শাসনের দমননীতি তাদের সাংগঠনিকভাবে দাড়াতে দেয়নি। যদিও তারা পরিবর্তনের পরিবেশ তৈরি করতে অবদান রেখেছে, কিন্তু কূটনৈতিকভাবে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি।
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যেসব দেশ গুরুত্বপূর্ণ, তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতেও ভূমিকা রাখে—কিন্তু এই দুই দল তাদের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনীতি যদি কূটনৈতিকভাবে সমর্থিত না হয়, তা টিকে থাকতে পারে না।
২০১৪ সালের নির্বাচন-এর পর থেকে সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনার প্রতি বিরক্ত হয় এবং দুই দেশের সম্পর্ক শ্লথ হয়ে পড়ে।
২০১৮ সালের নির্বাচনেও যুক্তরাষ্ট্র প্রকৃত গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করলেও হতাশ হয়েছে।
ডিসেম্বর ২০২২-এ র্যাব ও এর সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা শেখ হাসিনার সরকারকে সরাসরি হুমকি বলে অনেকেই মনে করেন। পরবর্তীতে কিছু ব্যক্তির উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা এর স্পষ্ট প্রমাণ। যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত ফল চায় না—তারা ধীরে এগিয়ে যেতে পছন্দ করে।
২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব যে ছাত্র সমন্বয়কারীদের নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সাধারণ জনগণ প্রতিদিন আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছিল।
শেষ মুহূর্তে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ এই বিপ্লবকে সফল করে তোলে। রাজনৈতিক নেতারাও যথাসময়ে অংশগ্রহণ করে এটিকে জাতীয় রূপ দেয়। ছাত্রদের ভূমিকা সবচেয়ে বড় এবং তা অনস্বীকার্য।
কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়: এই জুলাই বিপ্লবের প্রকৃত নেপথ্য নায়ক কে?
নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এর পেছনে কোনো পরিকল্পনাকারী আছেন। তবে তিনি কে? ধারণা করা হয়, এর পেছনে দেশীয় দমনকৃত শক্তি এবং বাংলাদেশে কৌশলগত স্বার্থসম্পন্ন একটি আন্তর্জাতিক শক্তি কাজ করেছে। রাজনীতি ও কূটনীতির যৌথ প্রচেষ্টায় শেখ হাসিনার পতন হয়েছে, যেভাবে ১৯৭৫ সালে তাঁর পিতার পতন হয়েছিল।
তৃতীয় বিশ্বের সরকার ও রাজনীতি আন্তর্জাতিক শক্তিনির্ভর। তাদের সমর্থন ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়।
তবে যদি নেতৃত্ব সৎ, প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ হয়, তাহলে জনগণের সরকার কখনো কখনো বাইরের চাপ অতিক্রম করতে পারে।
এই সংকটময় সময়ে জিয়াউর রহমানের মতো একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতার প্রয়োজন জাতির সামনে সবচেয়ে বড় বাস্তবতা।
এবার নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হতে লাগবে: ৫ টি শর্ত __
ক্যাপ্টেন আইনুল হক
১/ যোগ্যতা,,,, আপনি আইন প্রণেতা, অবশ্যই বাংলা ও ইংরেজীতে আইন সংবিধান লিখতে পড়তে ও বলতে পারতেই হবে। নইলে গোড়ায় গলদ!
২/ গ্রহণযোগ্যতা:
আপনি খুবই হ্যান্ডসাম ও বড়ো শিক্ষিত কিন্তু পাবলিকের কাছে গ্রহণযোগ্য নহেন — এমপি হতে পারবেন না।
৩/ আয় ও আয়কর:
আপনি এমপি মন্ত্রী হবেন: আপনার আয়করের রশিদ সহ চাকরি ব্যবসা প্রবাসী জ্ঞাত ও বৈধ আয়: থাকতেই হবে। নইলে আপনি সমাজকে কীভাবে দিবেন/ না নিবেন??
৪/ ধর্ম বা গোঁড়ামি নয়– যেহেতু কোরআন সমগ্র মানবজাতির জন্য সেরা সংবিধান ও মানুষের জন্য সেরা ম্যানুয়াল: সেহেতু এর অর্থ সহ বাংলায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ~ এমপি সাহেবের আমাদের মতো মানে জেনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে দেখান, পারলে ঠেকান ফর্মূলায়/ শহীদ গণের জানের নিমিত্তে নির্বাচন ও কাজ করে দেখাতে হবে ১০০/১০০. ২০২৪/৩৬ শে আগষ্ট থেকে আর নয় ~ আত্মপ্রবন্চণা!!!
৪/ আরো এমপি প্রার্থী হতে হলে ~ বাংলা ” আদর্শ লিপি” পড়তে জানতে ও মানতেই হবে। ৫৫ বছর গত,
আর ভুল কত?
৫/ আমাদের সবকিছুই আছে ~ নেই মানবতা, স্বচ্ছতা, অল্পে তুষ্ট থাকার মন মণন, মেধা ও দক্ষতা এবং কৃত্যঅভিজ্ঞ তা( competent).
- আপনি যদি দক্ষ যোগ্য ও গ্রহনযোগ্য এবং অভিজ্ঞ, নির্মোহ নির্লোভ নিরহংকার হন ~ এমপি হন: সততার প্রতিযোগিতায় ঝাঁপিয়ে পড়ুন।
•• স্বয়ং আল্লাহ বলেন:
” তোমরা সৎ কাজের প্রতিযোগিতায় ঝাঁপিয়ে পড়ো।
_ এটি স্রস্টার/ আল্লাহর আদেশ। আমরা মানতে বাধ্য।
কোরিডোর নয় ট্রান্স শিপমেনট:
ক্যাপ্টেন আইনুল হক
সারা বিশ্ব থেকে ত্রাণসামগ্রী আসবে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তা পাঠানো হবে আরাকান রাজ্যের কাছে যাতে রোহিঙ্গারা বার্মা ও বাংলাদেশের মধ্যে ( অবস্থিত) সবাই যেন মানবিক বিপর্যয়ের মুখে না পড়ে! তাঁরা যেন খাবার ও পানি পায়!!
_ এটা না বুঝে বাংলাদেশ বিক্রি করে দিল, গেল বাংলাদেশ গেল,,, this are all stupid talks. _ যেমন: বন্দরের কার্যক্রম ও পঁচা কনটৈইনার পরিষ্কার করায় হট্টগোল শুরু করে দিল: গেল বাংলাদেশ বন্দর বেচে দিল,,,,,,, এসব অপরিপক্ক কথায়,,,,, নো কর্ণপাত!!
আর,
সমস্যা নয় সমাধান:
প্রধান নেতার চেয়ে বেশি: বোঝে !!!
এটাই বাঙালি জাতিকে—- ডুবিয়েছে। যেমন:
71′ ব্যর্থ।
৯০’ ব্যর্থ।
২৪/ জুলাই ব্যর্থ হলে,
দেশ যাবে রসাতলে।।
তাই,
✓কম বুঝি, বেশি কাজ করি।
উদাহরণ:
ইসরাক বনাম তাপসের কাহিনী।
৩ মিথ্যা: ×××
১/ আসলে জিতেছেন ইশরাক, আওয়ামী ঘোষণা তাপস মেয়র!
কত্তো বড়ো অন্যায়!
২/ বেচারা ইশরাক ~ রায় আনলেন কিন্তু মেয়াদ শেষ!! এটা মানতে কষ্ট হচ্ছে। প্লীজ,৩ মাস অপেক্ষা করেন, ইনশাআল্লাহ জিতে যাবেন ~ রাস্তা ঘাট বন্ধ করলে/ চাঁদাবাজি করলে বিএনপি নির্ঘাৎ ডুববে!!! তাই, আপনারা শুধু মাত্র তারেক রহমানের কথা শুনেন ~ মঙ্গল, নইলে ব্যর্থ হয়ে যাবেন???
৩/ হে প্রশাসন ~ ডঃ ইউনুস সাহেব কে সাপোর্ট করবেন: just find out the truth and do justice: not injustice — নইলে সবাই চাকরি নট্। আসিতেছে খড়গ: দুষ্টের দমন না করলেই চাকুরী নট্ ।
মূলনীতি:✓✓✓✓✓
- অন্যায় দূর করে শুধু মাত্র ন্যায় প্রতিষ্ঠা করো। নইলে শেষ: এখন কিন্তু ৩৬ দিনে মাস হয়!!!
•• দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন ~ ফর্মূলায় যাচ্ছে দেশ। লক্ষন খুবই ভালো।।
© দেশ চলে আইন শৃঙ্খলা বিধিমালা নীতিমালা অনুযায়ী (সিষ্টেমে): আর কোন ব্যক্তি পূজা দল পূজা মার্কা পূজা ‘ দিন শেষ। সারা বিশ্ব উন্নত হয়েছে~~ এই সিষ্টেমে। বাকী সব বাকওয়াজ!!! - ® জুলাই যোদ্ধাদের দমন করতে কেউই পারেন না।
- ভালো থাক ~~ আমার মা মাটি মানুষ ও মাতৃভূমি।।।
///
আবেদন ও নিবেদনে_
প্রেসিডেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা উইং ও
সিনিয়র সিটিজেন প্যানেল,
NCP ( ছাত্র জনতার দল).
জাতীয় নাগরিক পার্টি।✓✓
বাংলার হেডকোয়ার্টার,
বাংলা মোটর।
রুপায়ণ টাওয়ার -লিফট ১৫.
ঢাকা ১২১৩.
০১৭৫০-৩৬৮৮৯৪.
[ হক্ক কথা বাই, ক্যাপ্টেন হক].
A captain with a compass ~~~~ দিকদর্শন।।
© ইনশাআল্লাহ দেশ ঠিক হয়ে যাবে।।
রাজনীতিতে সততা
প্রফেসর ড. এস কে আকরাম আলী
রাজনীতিতে সততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। যদিও বাস্তবে এর পথে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, তবুও রাজনীতিতে সততার জন্য চেষ্টা করা সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং কার্যকর শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে অপরিহার্য। সততা যে কোনো ভালো শাসনব্যস্থার ভিত্তি। রাজনীতিবিদরা যখন সৎ হন, তখন সমাজে ন্যায় ও সুবিচারের অনুভূতি জন্ম নেয়। তাঁরা অন্য নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের জন্য ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করতে পারেন এবং সমাজের সর্বত্র সততার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় অনুপ্রেরণা দেন। এটি সমাজের ঐক্য ও স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
কিন্তু নির্বাচন জেতার চাপ ও দলীয় স্বার্থ রক্ষার প্রয়োজনে অনেক সময় অসৎ কৌশল অবলম্বনের প্রবণতা দেখা যায়। অনেক রাজনৈতিক বিষয় এত জটিল যে, সত্য তথ্যকে সরলভাবে উপস্থাপন করতে গিয়ে বিকৃতি বা বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। তারপরও রাজনীতি এবং রাজনীতিবিদদের পথপ্রদর্শক হওয়া উচিত সত্য ও সততা। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণ ও দেশের স্বার্থকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেওয়া।
দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের রাজনীতিতে এখনও কাঙ্ক্ষিত সততা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অথচ এক সময় রাজনীতি পরিচালিত হতো সততা ও নৈতিকতার ভিত্তিতে। সত্যবাদিতা ছিল রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মধ্যে পড়তো প্রতারণা, বিভ্রান্তি ও তথ্য বিকৃতির পরিহার। রাজনীতিবিদরা ব্যক্তিগত লাভ ও দলীয় সুবিধার চাইতে জনগণের কল্যাণ ও জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন। তাঁরা নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী থাকতেন এবং জনগণের কাছে জবাবদিহি করতেন।
পাকিস্তান সৃষ্টির পরও রাজনীতিতে সততার এই সংস্কৃতি বজায় ছিল। কিন্তু পাকিস্তান আমলের শেষদিকে এসে রাজনীতিতে অসততা ঢুকে পড়ে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ তাঁদের নিজস্ব নেতাদের দ্বারা ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তির শিকার হয়েছিলেন। শেখ মুজিব নিজেও কখনো স্বাধীনতা চাননি, তিনি পূর্ব পাকিস্তানের জন্য শুধু স্বায়ত্তশাসনের দাবিই করেছিলেন। তাঁর ছয় দফা দাবিতে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিল এবং তাঁরা ছয় দফা আন্দোলনে পুরোপুরি সমর্থন দিয়েছিল।
ছয় দফা আন্দোলন শেখ মুজিবকে পূর্ব পাকিস্তানের নিঃসন্দেহ নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভে সহায়তা করে। তবে, পাকিস্তানের উভয় অংশের রাজনীতিতেই অসততার উপস্থিতি ছিল। ইয়াহিয়া খানের সামরিক সরকার অসৎ রাজনীতিবিদ যেমন জুলফিকার আলী ভুট্টোর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। এটিকে গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক অসততা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এছাড়া ইয়াহিয়া সরকারের পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ মানুষের ওপর সেনা অভিযান ছিল আরেক বড় ভুল, যা পাকিস্তানের ভাঙনের পথ আরও দ্রুততর করে এবং বাংলাদেশের জন্মকে অবশ্যম্ভাবী করে তোলে। অন্যদিকে, শেখ মুজিবের রাজনৈতিক আচরণেও অসততার পরিচয় পাওয়া যায়, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে তাঁর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছে।
শেখ মুজিবের অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের জীবন রক্ষার জন্য ভারতের আশ্রয় নেন এবং জনগণকে জান্তা সরকারের দয়া-দাক্ষিণ্যের ওপর ছেড়ে দেন।এর মাধ্যমে শেখ মুজিব চরম অসততার পরিচয় দিয়েছেন I ঠিক সেই সংকটময় মুহূর্তে এক সৎ সৈনিক জাতির পাশে দাঁড়িয়ে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। জনগণ প্রথমবারের মতো মেজর জিয়াউর রহমানের মধ্যে একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক নেতা দেখেন, যিনি শেখ মুজিবের মর্মান্তিক পতনের পর জাতিকে বাঁচানোর পথপ্রদর্শক হয়ে ওঠেন।
জিয়াউর রহমান তাঁর সততার প্রতি অটল থেকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে দেশের সেবা করার চেষ্টা করেন। তিনি তাঁর রাজনৈতিক মিশন জাতির সামনে অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে উপস্থাপন করেন এবং জনগণও তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচিকে পূর্ণ সমর্থন দেয়। তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কিছুই গোপন ছিল না, এ কারণেই তাঁকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সৎ নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জিয়াউর রহমান যথার্থভাবেই বাংলাদেশের মহান রাজনৈতিক নেতা এবং কিংবদন্তি হিসেবে স্বীকৃত।
এরশাদ রাজনৈতিকভাবে অসৎ হলেও দেশের উন্নয়নের প্রতি আন্তরিক ছিলেন। বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কখনও অসততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবে সময়ে সময়ে তিনি তাঁর কাছের কিছু সহযোগী ও আত্মীয়দের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। তবে তিনি কখনো জনগণের স্বার্থ বা দেশের স্বার্থ নিয়ে আপস করেননি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে চরম মাত্রার অসততা দেখা যায় শেখ হাসিনার শাসনামলে। তাঁর অসৎ রাজনৈতিক চর্চা বাংলাদেশের রাজনীতির পুরো কাঠামো ধ্বংস করেছে, এর সব প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করেছে। এখন ধ্বংস করার মতো কিছুই আর বাকি নেই, কেবল বাংলাদেশকে তাঁর প্রভু ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অপেক্ষা।
২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব আমাদের সামনে রাজনীতিতে সততার নতুন একটি সংস্কৃতি গড়ার দরজা খুলে দিয়েছে, কিন্তু দুঃখজনকভাবে সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে না। বিপ্লবের মূল স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে ভবিষ্যতের রাজনীতির প্রতি যথেষ্ট সততা দেখা যাচ্ছে না। বরং মনে হচ্ছে, তাঁরা শুধু ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত, জাতির জন্য একটি সত্যিকারের সৎ রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় নয়।
আমাদের অবশ্যই একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল দরকার, যার শিকড় তৃণমূলে বিস্তৃত থাকবে। তা না হলে দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হবে। ছোট ও অপ্রাসঙ্গিক রাজনৈতিক দলগুলো, যদিও জনপ্রিয়, তারা এই শূন্যতা পূরণ করতে পারবে না। নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপি ভবিষ্যতের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম নয় এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদী রাজনীতির চাপে সহজেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মূল জাতীয়তাবাদী শক্তির বিপক্ষে যাওয়া দেশকে রাজনৈতিক সংকটে ঠেলে দিতে পারে এবং তা গৃহযুদ্ধ পর্যন্ত গড়াতে পারে। শত্রুপক্ষ বহুদিন ধরে এমন সুযোগের অপেক্ষায় আছে এবং তারা পরিস্থিতি ঘোলা হলে ফায়দা লুটতে ভুল করবে না।
রাজনৈতিক দলগুলোকে সততা ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে, নইলে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। দেশের ভেতর ও বাইরে সক্রিয় শক্তিগুলো আমাদের অসৎ রাজনীতিবিদদের দুর্বলতার সুযোগ নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছে। আমরা কি নিজেদের দ্বন্দ্ব-দ্বিধার সুযোগে তাদের মাঠে খেলার সুযোগ করে দেব? —এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।
অবশেষে বলা যায়, রাজনীতিতে সততা অত্যাবশ্যক, কারণ এটি সরকার ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর জনগণের আস্থা তৈরি ও বজায় রাখতে সাহায্য করে। রাজনীতিবিদরা যখন সৎ বলে পরিচিত হন, তখন জনগণ তাঁদের আন্তরিকতা বিশ্বাস করে এবং তাঁদের নীতিমালা সমর্থন করে। ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পর রাজনীতিতে আর কোনো লুকোচুরি খেলা চলবে না। বাংলাদেশের মানুষ এখন রাজনীতিতে সততা দেখতে চায়।
রাজনীতিতে পায়ে ধরে সালাম সংস্কৃতি
চৌধুরী রিয়াদ

বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে পায়ে ধরে সালাম সংস্কৃতি দূর করতে না পারলে এদেশে কখনোই যোগ্য নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে না। রাজনীতিতে পায়ে ধরে সালাম করে স্বভাবতই লোভী, দুর্নীতিবাজ, দখল বাজ, চাঁদা বাজ ব্যক্তিত্বহীন কিছু উচ্চাভিলাষী সুবিধাবাদী লোকজন। এদের কারণ নীতিনির্ধারকদের কাছে সৎ সাহসী নির্ভীক নির্লোভ মানুষগুলো পৌঁছাতে পারে না বলেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভালো মানুষের সাংঘাতিক রকম ভাবে অনুপস্থিতি।
জুলাই ‘২৪ গণ আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের নুতন রাজনৈতিক দল এনসিপির সাথে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সকল পুরনো রাজনৈতিক দলের বয়োবৃদ্ধ নেতাদের পদত্যাগ করে তাদের দলের তরুণ নেতাদের ছেড়ে দেওয়া উচিত। এর ফলে দেশে নুতন নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী পদে যেমন একজন ব্যাক্তি দুইবারের বেশী বহাল থাকতে না পারে, তেমনি এমপি পদেও যেন দুইবারের বেশী একব্যক্তি না থাকে তার সংস্কার প্রয়োজন।
রাজনীতিতে মেধার গুরুত্ব
প্রফেসর ড. শেখ আকরাম আলী
একটি দেশের রাজনীতিতে মেধার গুরুত্ব অপরিসীম। ফলে শীর্ষস্থানীয় পদগুলো সাধারণত সেইসব ব্যক্তিদের দ্বারাই অধিষ্ঠিত হয়, যাদের মেধা ও অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বেশি। রাজনীতিতে মেধাবাদ (Meritocracy) এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদান করা হয় ব্যক্তির যোগ্যতা ও প্রতিভার ভিত্তিতে—লিঙ্গ, জাতি বা সামাজিক পটভূমির ভিত্তিতে নয়। এই পদ্ধতির লক্ষ্য হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি ন্যায়সংগত পরিবেশ তৈরি করা, যাতে তরুণ নেতৃত্বরা তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারে এবং আমাদের সমাজে বিদ্যমান কাঠামোগত বৈষম্য হ্রাস পায়। এটি এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে জনগণ সেই ব্যক্তিদের নির্বাচিত করে, যাদের তারা সবচেয়ে যোগ্য ও নৈতিক হিসেবে বিবেচনা করে। এই ব্যবস্থা সমান সুযোগের সম্ভাবনাকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে।
মেধাবাদ এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা, যেখানে মানুষকে পুরস্কৃত বা পদোন্নতি প্রদান করা হয় তাদের অর্জনের ভিত্তিতে—তাদের আর্থসামাজিক অবস্থান বা শ্রেণির ভিত্তিতে নয়। মেধাবাদী ব্যবস্থার মধ্যে জীবনে সফলতা নির্ভর করে প্রধানত ব্যক্তির নিজস্ব উদ্যোগ, প্রতিভা, দক্ষতা ও পরিশ্রমের উপর। রাজনৈতিক ক্ষমতা ও নেতৃত্বের পদ দেওয়া হয় সেইসব ব্যক্তিদের, যাদের ত্যাগ, প্রতিভা ও অর্জন রয়েছে। এটি এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে মানুষকে ক্ষমতা, প্রভাব বা পুরস্কারের জন্য নিযুক্ত করা হয় শুধুমাত্র তাদের পূর্ববর্তী সফলতার ভিত্তিতে।
যদিও ধারণাটি বহু শতাব্দী ধরে অস্তিত্বে রয়েছে, তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে এর ব্যবহার তুলনামূলকভাবে নতুন। ১৯৫৬ সালে সমাজতাত্ত্বিক অ্যালান ফক্স সর্বপ্রথম “Meritocracy” শব্দটি ব্যবহার করেন এবং পরে ১৯৫৮ সালে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ ও সমাজতাত্ত্বিক মাইকেল ডানলপ ইয়াং এটি জনপ্রিয় করেন। প্লেটো ও অ্যারিস্টটল উভয়েই রাজনীতিতে মেধাবাদের পক্ষে ছিলেন। প্লেটো তার বিখ্যাত গ্রন্থ The Republic-এ বলেন, ‘জ্ঞাতব্য ব্যক্তিরাই সমাজ শাসন করবে’। নেপোলিয়ন প্রতিভার শাসনের পক্ষে ছিলেন। ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতেও প্রতিভা ও নৈতিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের গুরুত্ব দেওয়া হয়। চীনেও এই বিশ্বাস প্রচলিত যে শাসকদের মেধাবান হতে হবে।
খুলাফায়ে রাশেদিনগণ তাদের উত্তরসূরি নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাস্তবধর্মী ছিলেন। তাদের নেতৃত্বের ভিত্তি ছিল মেধাবাদ। স্বীকৃত ব্যক্তিবর্গ একটি শূরা পরিষদে একত্রিত হতেন এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে খলিফা নির্বাচন করতেন। খলিফাগণের নির্বাচন ও নেতৃত্ব ছিল সম্পূর্ণরূপে মেধা ও যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে ফিরে তাকানো যাক
ব্রিটিশ শাসনামলে দক্ষ ও মেধাবী ব্যক্তিরাই কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ—এই দুই রাজনৈতিক দলেই নেতৃত্বে ছিলেন। মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, সুভাষ চন্দ্র বসু, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, লিয়াকত আলী খান, এ. কে. ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মতো নেতারা ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক দৈত্যরূপে বিবেচিত হতেন।
পাকিস্তান স্বাধীন দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল বেশ কিছু রাজনৈতিক প্রতিভা নিয়ে। কিন্তু শিগগিরই ১৯৫৮ সালে মার্শাল ল’ ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত পাকিস্তান নেতৃত্ব সংকটে পতিত হয়। ভারতীয় আধিপত্যবাদী রাজনীতির শিকার হয়ে পাকিস্তান তার অখণ্ডতা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়। ফলস্বরূপ, নেতৃত্বের সংকটের কারণে বাংলাদেশের জন্ম এক সময় অনিবার্য হয়ে ওঠে।
স্বাধীন বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে মেধা ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন নেতৃত্বের অভাব দেখা যায়। এরই ফলস্বরূপ ১৯৭৪ সালে দেশের মানুষ এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হয়। অনেকের মতে, শেখ মুজিবুর রহমান প্রশাসন চালানোর জন্য উপযুক্ত নেতা ছিলেন না, এবং তার শাসনব্যবস্থার করুণ পরিণতি ঘটে ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে।
এরপর দেশের জন্য স্বস্তির বার্তা বয়ে আনেন জিয়াউর রহমান, যিনি ১৯৭৫ সালের নভেম্বরের শুরুতে ক্ষমতায় আসেন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জন্য এক অসাধারণ রাজনৈতিক প্রতিভা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেন। তিনি আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মেধাবী মানুষ খুঁজে বের করার কাজে মনোনিবেশ করেন এবং সৌভাগ্যক্রমে তার চারপাশে একদল দক্ষ রাজনৈতিক, সামরিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন যারা তার সংস্কার কর্মসূচিকে সফলভাবে বাস্তবায়নে সহায়তা করেন।
জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বিবেচিত হন যিনি সত্যিকার অর্থে মেধার গুরুত্ব বুঝেছিলেন। তিনি সদা-সর্বদা মেধা অন্বেষণ করতেন এবং কখনও মেধার সঙ্গে আপস করতেন না। তিনি মেধাবীদের মূল্যায়ন করতেন এবং তাদের যথাযথ সম্মান ও দায়িত্ব দিতেন। তার এই মেধার প্রতি শ্রদ্ধা যেন এক ধরণের জাদুর মতো কাজ করেছিল। মেধাবী মানুষদের সহায়তায় তিনি তার লক্ষ্য পূরণে সফল হন। তাকে কখনো nepotism (আত্মীয়প্রীতি) বা favouritism (পক্ষপাতিত্ব) এর পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা যায়নি।
এই সংকটকালীন সময়ে বিএনপি’র উচিত হবে জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরণ করে সমাজ থেকে মেধাবী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা এবং তাদেরকে জাতির সেবায় সুযোগ করে দেওয়া। যদিও ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপি আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারে, তবে অনেকেই মনে করেন, তারা পাঁচ বছর পূর্ণমেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। ভবিষ্যৎ সংসদ সদস্য প্রার্থী নির্বাচনের সময় এই গণমানসিকতা বিএনপির গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।
জামায়াতে ইসলামীকে মেধার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দিতে দেখা যাচ্ছে। তারা নেতৃত্ব নির্বাচনে অনেক বেশি আন্তরিক এবং মেধাবী নেতৃত্বই বেছে নিচ্ছে। আগামী সংসদে তারা শক্তিশালী বিরোধীদল হিসেবে আবির্ভূত হবে এবং উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে—এতে সন্দেহ নেই।
নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি’রও উচিত হবে মেধাবীদের গুরুত্ব দেওয়া, নতুবা তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে।
পুরো জাতি, বিশেষ করে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর—যেমন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি’র—মেধাবী মানুষের সেবা ও অবদানের যথাযথ মূল্যায়ন করা উচিত। কারণ আমরা একটি ঐতিহাসিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যেখানে আর কোনো ভুল করার অবকাশ নেই। ভবিষ্যতের রাজনীতিতে মেধাবী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার না দিলে দেশ আবারও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে, এবং জাতি তার চরম মূল্য দিতে বাধ্য হবে।
সংগৃহীত
ড. ইউনূস কোথায় হাত দিয়েছে জানেন ?
কুমিরের মুখ থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছেন উনি।
ভারত একতরফাভাবে ১০ টি প্রকল্প হাসিনাকে চাপিয়ে দিয়ে নিজের স্বার্থ হাছিল করতে চাইছিল। যা ছিলো বাংলাদেশের মানুষের মরণ ফাঁদ, আর রেন্ডিয়ার কৌশলগত ও অর্থনৈতিক স্বার্থ।
*ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেল সংযোগ প্রকল্পে হয়েছিল যেখানে ভারত পেত বিনামূল্যে ট্রানজিট সুবিধা, অথচ বাংলাদেশ এই সংযোগের কৌশলগত হুমকির মুখে পড়ত।
- চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের চুক্তি এতোটাই ভয়ংকর ছিলো যেখানে কৌশলে বঙ্গোপসাগর দখলে নিয়ে যেতো। যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারত।
*সিলেট-শিবচর সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প।
যা ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে সরাসরি প্রবেশের সুযোগ করে দিত। এখানে তাদের ফায়দা হলো সেভেন সিস্টার্সকে নিজেদের কবজায় রাখা।
*পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পও স্থগিত করা হয়েছে, যেখানে ভারত ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশের জ্বালানি বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
মানে আপনাকে কিনতে বাধ্য করা হতো। ৫ টাকার জিনিস বাধ্য হয়ে ৫০ টাকা দিয়ে কিনতে হতো। আপনি চাইলেই চীন থেকে ১০ টাকা দিয়ে কিনতে পারতেন না।
*অভয়পুর-আখাউড়া রেলপথ প্রকল্পে ভারতের সামরিক ও বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহনের সুবিধা থাকলেও বাংলাদেশ কোনো কৌশলগত লাভ পেত না।
*আশুগঞ্জ-আগরতলা করিডর, এইডা ছিলো আরেক মরণ ফাদ। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে যেখানে দিল্লি থেকে সরাসরি কম খরচ ও সময়ে সেভেন সিস্টার্সে যেতো।
*ফেনী নদী জল ব্যবস্থাপনা।এতো দিন ইচ্ছেমতো পানি ব্যবহার করেছে। তাদের লাভে নদী থেকে পানি তুলে নিতো এখানে আমরা পর্যাপ্ত পানি পেতাম না।
*ফারাক্কাবাদ সংস্কারসহ মোট ১০টি প্রকল্প সরাসরি ভারতের স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছিল। উত্তরবঙ্গের মানুষ কি পরিমাণ সাফারার একমাত্র তারাই বলতে পারবে।
বন্য ,খরা দুটাই রীতিমতো উপভোগ করে। চীন চেয়েছিলো কাজটা করে দিবে কিন্তু ভারত সাপও মারে আবার সাপের লেজও জীবিত রাখে।
কথা হইলো সবকিছু বাস্তবায়ন হলে প্রতিরক্ষা বাহিনীরের দায়িত্ব বেড়ে যেতো অর্থাৎ সারাদিন ভারতকে ট্যাকেল দিতে দিতে হুশ থাকতো না। ঐ সুযোগে মাদক চোরাচালান, চোর বাটপার, বিশেষ করে র এর এজেন্টরা ইজিলি প্রবেশ করতো। সবচেয়ে বড় কথা হলো যদি কখনো যুদ্ধ হতো তাহলে আমার দেশের ভূমি ব্যবহার করেই আমাদের মাইর দিতো।
এই সাহসী সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ নতুন করে তার কৌশলগত স্বাধীনতা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার কাজ করবে।
১০ টি প্রকল্প থেকে সরে আসছে মানে বাংলাদেশের
“স্বাধীনতার পর সবচেয়ে শক্ত অবস্থান”।
এমন শক্তিশালী দেশই তো আমরা চেয়েছিলাম যারা অপরাধীদের টুটি চেপে ধরবে।
হাসিনা একটা কথা বলছিলো, “ভারতকে আমরা যা দিয়েছি সারাজীবন মনে রাখবে”, হাইরে আপা,আপনার দেশ বিক্রি করে দিয়ে নিজের উন্নয়ন দেখালেন এদিকে পরবর্তী প্রজম্মের চিন্তা করলেন না দুঃখজনক!!!
We love our Country more than life 🇧🇩.
Bangladesh is only our land!!
(নোবেল বিজয়ী ডক্টর Muhammad Yunus স্যারকে আমরা সম্মান করি।
আগামী নির্বাচনের রাজনীতি
✍️ প্রফেসর ড. শেখ আকরাম আলী
নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক সমাজে ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র স্বীকৃত পন্থা হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের জনগণ আন্তরিকভাবে চায়, সরকার পরিবর্তনে যেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কার্যকর হয়। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতায় তারা নির্বাচনের নোংরা রাজনীতির সবচেয়ে তিক্ত স্বাদ গ্রহণ করেছে।
যদিও জনগণ বর্তমানে দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রমের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়েছে, তথাপি তারাই এখনো বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রধান ভূমিকা পালন করছে। অনেক দিন ধরেই জনগণ একটি নতুন রাজনৈতিক দলের উত্থানের স্বপ্ন দেখে আসছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই স্বপ্ন বাস্তব রূপ পায়নি।
স্বাধীনতা-পূর্ব ও স্বাধীনতা-পরবর্তী অভিজ্ঞতা জনগণের জন্য বিশেষভাবে সুখকর ছিল না। শেখ মুজিবকে সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থার বিনাশের অন্যতম নায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়, অপরদিকে শহীদ জিয়াউর রহমানকে দেশে গণতান্ত্রিক চর্চার অগ্রদূত হিসেবে সম্মান দেওয়া হয়। ১৯৭৯ সালে তার জীবদ্দশায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নির্বাচন প্রকৌশলের তেমন কোনো অভিযোগ দেখা যায়নি। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩৮টি আসন পেয়ে বিরোধী দলে পরিণত হয় এবং মুসলিম লীগ ও আইডিএলও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসন লাভ করে। মুসলিম লীগের সভাপতি খান এ সবুর খুলনার তিনটি আসন থেকে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে একটি নজির স্থাপন করেন।
জিয়াউর রহমানের পতন এবং এরশাদের উত্থানে নির্বাচনের চিত্র পুরোপুরি পাল্টে যায়, এবং নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। এক গণবিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে এরশাদ প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হন। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন তার দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠা ও যোগ্যতা প্রমাণ করেন এবং দেশের জনগণ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যক্ষ করে।
বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, জামায়াতে ইসলামী’র নিঃশর্ত সমর্থনে ক্ষমতায় আসে। কিন্তু পরে জামায়াত একই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে যোগ দেয় এবং ১৯৯৬ সালের জুনে তাদের ক্ষমতায় নিয়ে আসে। শীঘ্রই জামায়াত তাদের রাজনৈতিক ভুল উপলব্ধি করে এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটে যুক্ত হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে এই জোট বিশাল সাফল্য লাভ করে।
পরবর্তীতে কিছু রাজনৈতিক ভুলের কারণে বিএনপি নির্বাচনী অঙ্গনে ছিটকে পড়ে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদী রাজনীতির শিকার হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিস্ট শাসন ভারতীয় পরামর্শ ও সহায়তায় বিএনপিকে নির্বাচনী রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। বিএনপি ও জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও তারা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কৌশলের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেনি। আসলে শুধু আওয়ামী লীগই নয়, বরং ভারতের প্রত্যক্ষ সমর্থন শেখ হাসিনার পেছনে ছিল তার উত্থান থেকে ২০২৪ সালের পতন পর্যন্ত। এই সমর্থন তাকে টানা পনেরো বছর ক্ষমতায় রাখে, যতক্ষণ না তিনি দেশত্যাগে বাধ্য হয়ে “তার গুরুর” আশ্রয়ে যান।
২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিলেও এখনো তা বাস্তব রূপ পায়নি। ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার একটি সুস্থ সমাজ-রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে আন্তরিক বলে মনে হলেও, এখনো কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি বা চূড়ান্ত সমঝোতা দেখা যায়নি। যে বিপ্লবের জন্য জাতি এত ত্যাগ স্বীকার করেছে—প্রাণ পর্যন্ত দিয়েছে—তা ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’, যা পরিবর্তন ও সংস্কারের ভিত্তি হতে পারতো, তা এখনো ঘোষণা করা হয়নি। কেন বিলম্ব হচ্ছে—তা জাতির অজানা।
জাতি নিরলসভাবে অপেক্ষা করছে সৎ, ন্যায়নিষ্ঠ ও সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য, কিন্তু তা এখনো বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে বলে মনে হচ্ছে। মনে করা হয়, রাজনৈতিক দলসমূহ এবং বর্তমান সরকার একসঙ্গে চাইলেই জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে পারে।
বর্তমানে রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনটি দল সক্রিয় এবং প্রতিটি দলই ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। আওয়ামী লীগের পতনের পর বিএনপি এখন দেশের সবচেয়ে বড় ও প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক চলে, তবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য নির্বাচনের মাধ্যমে তারা পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে।
সম্প্রতি লন্ডনে ড. ইউনুস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনের রাজনীতি কার্যত শুরু হয়ে গেছে। এই নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক মেরুকরণ প্রকাশ্য ও গোপন উভয়ভাবেই ঘটছে।
অনেকের মতে, বিএনপি তাদের পুরনো মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে এবং কিছু নতুন রাজনৈতিক দলকে যুক্ত করে একটি বৃহৎ জোট গঠনের চেষ্টা করবে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন এই জোট, প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত-নেতৃত্বাধীন সম্ভাব্য জোটের তুলনায় বড় ব্যবধানে বিজয়ী হতে পারে।
নবগঠিত এনসিপি (NCP)-এর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে—তারা কি একা লড়বে, না কি কোনো জোটে যোগ দেবে? কেউ বলছেন, তারা জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেবে, আবার কেউ বলছেন, লন্ডনের বৈঠকে ড. ইউনুসের মাধ্যমে ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনী সমঝোতা হয়েছে।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচনের ভবিষ্যৎ রাজনীতি পরিষ্কার হতে পারে। তবে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের জন্য বিরোধী দলে থেকেই উত্থান ও বিকাশ হওয়াটাই অধিকতর সহায়ক।
বাংলাদেশের রাজনীতি প্রমাণ করেছে এটি অত্যন্ত জটিল একটি বিষয়—বিশেষ করে যখন এর একটি প্রভাবশালী প্রতিবেশী রয়েছে, যাকে সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে একটি স্থায়ী হুমকি হিসেবে দেখা হয়।
বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক দলই এককভাবে এই শক্তিশালী প্রতিবেশীর মোকাবিলা করতে পারবে না। তবে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি পরিপক্কতা ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে এই হুমকি মোকাবিলা করতে সক্ষম।
যেসব দেশ সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত, তাদের সঙ্গে আগ্রাসী কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।
ভারত আগামী নির্বাচনের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করবে—এমন আশঙ্কা প্রবল। ধারণা করা হচ্ছে, তারা ইতোমধ্যে দেশের প্রধান জাতীয়তাবাদী শক্তির ভেতরে তাদের প্রভাব বিস্তারকারী এজেন্ট ঢুকিয়ে দিয়েছে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সব রাজনৈতিক দলকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। আমাদেরকেও ভারতের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ সম্পর্কে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।