










১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ ছয়জন নিহত হন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি, সেদিন সাতজন মারা গেছেন। পরের দিন ১৭ জুলাই প্রাণহানি হয়নি। সমকালের তথ্যানুযায়ী, ১৮ জুলাই অন্তত ৪১ জন নিহত হন। পরদিন নিহতের সংখ্যা ৬২ প্রকাশিত হয় সমকালে। পরে জানা যায়, সেদিন অন্তত ৮৫ জনের প্রাণ গেছে গুলিতে। ২০ জুলাই অন্তত ৪০ জনের এবং ২১ জুলাই ২৭ জন নিহত হন। চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে পরের দিনগুলোতে। অধিকাংশ প্রাণহানি রাজধানীতে হলেও তাদের বিভিন্ন জেলায় দাফন করা হয়।
বরিশাল ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, নিহত ৫২ জনের বাড়ি বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায়। তাদের ৪৯ জন ঢাকায়, দু’জন চট্টগ্রাম ও মাদারীপুরে মারা গেছেন। নিহতদের পাঁচজন শিক্ষার্থী। দু’জনের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে।
সহিংসতায় নিহতদের ১৪ জন বরিশাল জেলার। বাবুগঞ্জের রহমতপুর ইউনিয়নের মহিষাদী গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে ফয়সাল আহেমদ শান্ত (১৯) গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের নগরের মুরাদনগর এলাকায় গুলিতে নিহত হন। তিনি চট্টগ্রামের এমইএস কলেজে ব্যবস্থাপনা প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এ উপজেলার বাহেরচর ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের মিজানুর রহমান বাচ্চুর ছেলে আবদুল্লাহ আল আবির (২৪) নিহত হন গত ১৯ জুলাই ঢাকার কুড়িলে।
বানারীপাড়ার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের হাফেজ মাওলানা মো. জসিম উদ্দিন (৫০) ১৯ জুলাই উত্তরায় এবং বেতাল গ্রামের আল আমিন রনি (২৪) মহাখালীতে গুলিতে নিহত হন। গৌরনদীর কালনা গ্রামের ইমরান খলিফা (৩৩) যাত্রাবাড়ীতে এবং হোসনাবাদ গ্রামের মহসিন জামাল সিকদার (৩৮) খিলগাঁও এলাকায় গুলিতে নিহত হন।
গত ২০ জুলাই শনির আখড়ায় নিহত হন বাকেরগঞ্জের পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের ষাটবুনিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৬)। এ উপজেলার চরাদি ইউনিয়নের বলইকাঠী গ্রামের শাওন সিকদার (২৩), দুধল ইউনিয়নের দুধল-কবিরাজ গ্রামের দর্জি অদুত আকন (৪০) ও কবাই ইউনিয়নের দক্ষিণ কবাই গ্রামের সুমন সিকদার ঢাকায় গুলিতে নিহত হয়েছেন।
মেহেন্দীগঞ্জের দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়নের পানবাড়িয়া গ্রামের শাওন খান (১৯) ঢাকার রামপুরায় ১৯ জুলাই গুলিতে নিহত হন। হিজলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের খুন্না গোবিন্দপুর গ্রামের মো. শাহিন (২২), গৌরবদী ইউনিয়নের চরদেবুয়া গ্রামের মো. নোমান (২৩) ঢাকায় নিহত হয়েছেন।
ভোলার ২০ জন রাজধানীতে গুলিতে নিহত হয়েছেন। ২০ জুলাই সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্তমুন্সী গ্রামের মো. শামিন (৩৫) মোহাম্মদপুরে ও কাচিয়া ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন (৩০) মিরপুরে নিহত হন। সদরের আলীনগর ইউনিয়নের সাচিয়া গ্রামের মাদ্রাসা ছাত্র ইমন ওরফে নাঈম (২২) নিহত হন ২১ জুলাই।
চরফ্যাসনের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ১৭ জুলাই মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে নিহত হন হাসানগঞ্জ গ্রামের মো. সিয়াম (১৫)। ২০ জুলাই ধানমন্ডিতে নিহত হন নজরুলনগর ইউনিয়নের চর আরকলমি গ্রামের হাসনাইন মাল (২৫)। ২১ জুলাই দুলারহাট ইউনিয়নের নীলকমল গ্রামের ট্রাকচালক মো. হোসেন মোহাম্মদপুরে, শশীভূষণ ইউনিয়নের হাজারীগঞ্জ গ্রামের সোহাগ রামপুরায় ও রসুলপুর গ্রামের জাফর মিয়ার ছেলে ওয়ার্কশপ কর্মচারী বাহাদুর হোসেন মনির (১৫) বাড্ডায় নিহত হন।
বোরহানউদ্দিন ও লালমোহনে ছয়জন করে নিহত হন। পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার ধাওয়া গ্রামের গাড়িচালক এমাদুল হক হাওলাদার (২৭) ২০ জুলাই বাড্ডা এলাকায় নিহত হন। তিনি এলাকায় থাকাকালে জামায়াত কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
ঝালকাঠির ২, বরগুনার ৬, পটুয়াখালীর ৯ জন রাজধানীর সহিংসতায় নিহত হন। দায়িত্ব পালনের সময়ে ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার এলাকায় গুলিতে নিহত হন ঢাকা টাইমসের রিপোর্টার মেহেদী হাসান (৩২)। তিনি বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়নের মোশারেফ হোসেনের ছেলে। মোশারেফ হোসেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড সভাপতি।
খুলনা ব্যুরো জানিয়েছে, কুষ্টিয়ার ৪, মাগুরার ৩ এবং খুলনা, ঝিনাইদহ ও বাগেরহাটে ২ জন করে; যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গায় ১ জন করে মোট ১৭ জন নিহত হয়েছেন। তাদের ১৫ জন ঢাকায় গুলিতে ও দু’জন নারায়ণগঞ্জে আগুনে পুড়ে নিহত হন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষার্থী, ৯ জন চাকরিজীবী, দু’জন শ্রমিক এবং একজন গার্মেন্টস কর্মী।
কুষ্টিয়া পলিটেকনিকের শেষ বর্ষের ছাত্র মারুফ হোসেন (২১) ইন্টার্ন করতে ২০ দিন আগে ঢাকায় যান। ১৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বনশ্রী এলাকার ভাড়া বাসার সামনে একটি শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিতে নিহত হন।
নরসিংদী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নিহত ১২ জনের পরিচয় মিলেছে। পুলিশের গুলিতে নিহত ইয়ামিন নরসিংদী আইডিয়াল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এবং তাহমিদ ভূঁইয়া নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমসের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ২০ জুলাই শিবপুর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সহসভাপতি জহিরুল ইসলাম টিপুকে (৪৫) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানিয়েছে, জেলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন– চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরাম (২২), এমইএস কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ (২০), সরকারি আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী তানভীর আহমেদ (১৮), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া (২২), বহদ্দারহাটের মুদি দোকানের কর্মী সায়মন হোসেন (১৪), মুরাদপুরের ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী মোহাম্মদ ফারক (৩৪) ও বাসের সহকারী আবদুল মজিদ (২০)।
রংপুর অফিস জানিয়েছে, বিভাগের তিন জেলার ১১ জন নিহত হয়েছেন। ঢাকায় গুলিতে নিহত হন পাঁচজন। রংপুরে নিহতরা হলেন শিক্ষার্থী আবু সাঈদ (২৩), সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন (৩০), নিউ জুম্মাপাড়া এলাকার মিরাজুল ইসলাম (৩৫), গণেশপুর বকুলতলার মোসলেম উদ্দিন মিলন (৪০), সিও বাজার এলাকার তোফাজ্জল হোসেন (৪০) ও অটোচালক মানিক মিয়া (৩৫)। ঢাকায় নিহত ফটো সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র (২৮) বাড়ি রংপুরে।
রাজশাহী ব্যুরো জানিয়েছে, নওগাঁ ও বগুড়ায় দু’জন করে এবং জয়পুরহাটে একজন নিহত হয়েছেন। নওগাঁর মান্ডার ভোলাগাড়ী গ্রামের মো. রাসেল (১৫) ১৯ জুলাই দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ডিআইটি রোডের দেওভোগ মার্কেটের গুলিবিদ্ধ হয়। ২২ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়।
টঙ্গী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ফাহমিন জাফরের (১৭) বাড়ি আত্রাই উপজেলার তারাটিয়া গ্রামে। টঙ্গী পুলিশের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়।
ফরিদপুর অফিস জানিয়েছে, বৃহত্তর ফরিদপুরে কোটা আন্দোলনে প্রাণ গেছে ১৬ জনের। ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আনসার সদস্য জুয়েল শেখ ফরিদপুরের মধুখালীর মেগচামী ইউনিয়নের পার আশাপুর গ্রামের।
সিলেট ব্যুরো জানিয়েছে, সিলেটে সাংবাদিক এ টি এম তুরাব ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয়ের (শাবি) শিক্ষার্থী রুদ্র সেন নিহত হয়েছেন। কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, করিমগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মোবারক হোসেন (২৮) ১৯ জুলাই ঢাকার কদমতলীতে গুলিতে নিহত হন।
গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরের যুবলীগ নেতা জুয়েল মোল্লাহকে ঢাকার উত্তরায় হত্যা করা হয়। তিনি গাজীপুরের গাছা এলাকার চান্দরা গ্রামের বারেক মোল্লাহর ছেলে। গাজীপুরে নিহত অন্যরা বিভিন্ন জেলা থেকে আসা।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জের নয়ামাটিতে ছয় বছরের শিশু রিয়া গোপ নিহত হয়েছে গুলিতে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজধানীর উত্তরায় প্রাণ হারানো ৮১ জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সংগঠন জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স। গত ৭ ডিসেম্বর শনিবার উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে সংবাদ সম্মেলনে শহীদদের তালিকা প্রকাশ ধরা হয়। এতে তাদের পরিবারের সদস্যরাও কথা বলেন। এদিকে এই মাঠে শহীদ মিনারে শহীদদের ছবিসংবলিত বিশাল ব্যানার স্থাপন করা হয়েছে।
জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের মুখপাত্র ফানতাসির মাহমুদ বলেন, ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত উত্তরায় প্রাণ হারিয়েছেন অগণিত মানুষ। সবার পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি। আমরা বিভিন্ন স্তরে কাজ করে শহীদদের তালিকা তৈরি করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ২৫ শিক্ষার্থী, ১৯ চাকরিজীবী, ১০ ব্যবসায়ী, পাঁচ গাড়িচালক বা রিকশাচালক, দু’জন মসজিদের ইমাম, একজন চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের মৃত্যুর তথ্য মিলেছে।
ফানতাসির মাহমুদ জানান, দিন হিসাব করলে সবচেয়ে বেশি হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৫ আগস্ট; এদিন ৪২ জন শহীদ হন। ১৯ জুলাই ২২ ও ১৮ জুলাই ২০ জন শহীদ হন। তাদের মধ্যে বয়সের হিসাবে ২১ থেকে ৩০ বছরের সবচেয়ে বেশি ২৬ জন রয়েছেন। এ ছাড়া ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৮ জন ও ১০ থেকে ২০ বছরের ১৭ জন রয়েছেন।
যে ৮১ জনের পরিচয় তুলে ধরা হয় তারা হলেন– জাহিদুজ্জামান তানভিন, আসিফ হাসান, শাকিল পারভেজ, জসিম, আলী হোসেন, আবদুর রউফ, মাহমুদুল হাসান রিজভী, মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, ডা. সজীব সরকার, মো. সাব্বির আহমেদ, মো. তাজুল ইসলাম, রাহাত হোসাইন শরিফ, জাকারিয়া হাসান, শেখ ফাহমিন জাফর, আবদুল্লাহ আল তাহির, মোখলেসুর রহমান, মো. আলী হোসেন, নাজিম উদ্দিন, বকুল মিয়া, মো. জসিম, সামিদ হোসাইন, জুবায়ের ব্যাপারী, আলমগীর হোসাইন, সাবিদ হোসাইন, হাফেজ সাদিকুর রহমান, রেদওয়ান শরীফ রিয়াদ, জাকির হোসাইন, হাফেজ আমিনুল ইসলাম, নাঈমা সুলতানা, হাফেজ মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাহার, সাব্বির ইসলাম সাকিব, আবু বক্কর সিদ্দিক শিবলু, ফয়সাল সরকার, জাকির হোসেন, মো. আসাদুল্লাহ, মো. জুবায়ের ব্যাপারী, মোহাম্মাদ জামাল মোল্লা, রবিউল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাহিন, জাহিদুল ইসলাম, মো. আনারুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান খান সোহেল, আবদুস সাত্তার, নাঈম ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, রাজু আহমেদ, মাহমুদুল হাসান, আকাশ ব্যাপারী, সাগর গাজী, জসিম, হাফেজ আব্দুন নুর, রিপন, নাজিম, ওমর নুরুল আবসার, সানজিদ হোসেন মৃধা, লাবলু মিয়া, মো. বাবুল, আব্দুন নুর, আবদুল্লাহ বিন জাহিদ, মো. রবিউল ইসলাম লিমন, ওয়াহিদ মিয়া, ফজলুল করিম, রানা তালুকদার, সামিও আমান নূর, সুজন মিয়া, জহিরুল ইসলাম শুভ, মোহাম্মাদ লিটন, শাখাওয়াত হোসাইন সাদাত, জসিম, হাফেজ মাহমুদুল হাসান মেহেদি, রুহুল আমিন, আবদুল কাদের মানিক, কবির, সাইফুল ইসলাম সেকুল, সাইফুল ইসলাম, মাসুম শেখ, আমির হোসাইন, আবু হাসানাত রনি, নাজমুল ইসলাম রাজু, জসিমউদদীন তুফান ও জাবির ইব্রাহিম। এই ৮১ জন ছাড়াও উত্তরার বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শহীদদের ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন মর্গে পাঠিয়েছে; কিন্তু পরে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
তথ্য সূত্রঃ জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স
প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, নতুন করে তালিকাভুক্ত হওয়া ১০ শহীদ হলেন—কুড়িগ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম, শরীয়তপুরের নড়িয়ার বাধন, ঢাকার পূর্ব সেনপাড়া পর্বতা এলাকার কবির, যাত্রাবাড়ী এলাকার কুতুবখালীর মো. নাসির হোসেন, দনিয়ার মো. নুর হোসেন ও উত্তর কুতুবখালীর মো. আসলাম, চট্টগ্রামের ডবলমুরিংয়ের মো. হাছান, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর ইয়াছিন, যশোর সদরের আ. আজীজ এবং বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের মো. নুরু বেপারী।